শুক্র ও শনিবার বরিশালের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে। এ লক্ষে রোববার দুপুরে বরিশালের জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকা ওই সভায় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক বৃন্দ, শিক্ষা অফিসার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম। এসময় সবাই মিলে আলোচনা করায় যেটা বেরিয়ে আসলো সেটা হলো, শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধি করতে হলে নিয়ন্ত্রনের কোন বিকল্প নেই। নিয়ন্ত্রন বলতে প্রাথমিকভাবে আমরা সময়টাকে গুরুত্ব দিয়েছি। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন কোন কোচিং সেন্টার খুলবে না। সপ্তাহে ২ দিন বলতে শুক্র ও শনিবার শিশুরা বেড়াবে, একটু খোলা মাঠে যাবে, খেলাধুলা করবে, সংস্কৃতির চর্চা করবে। যাতে তাদের শরীর ও মন ফ্রেশ থাকে, এরবাহিরের ৫ দিন বাচ্চারা পড়াশুনা করবে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তটা প্রিভেনটিফ (প্রতিষেধক) আর মটিভেশনাল ( প্রেরণাদায়ী) একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেটা হলো বাচ্চাদের বেশি নম্বর পাওয়া, কিংবা বেশি গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে অভিভাবক বিশেষ করে মায়েরা পাগলপাড়া হয়ে গেছে। এটাই কোচিং এর মূল কারণ। মায়েরা এরকম না হলে বাচ্চারা কোচিং এর দিকে ঝুকতো না। এজন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা মা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মা সমাবেশ আমি সহ আমার সহকর্মীরা সবাই মিলে বোঝাবো, যে আপনারা কিন্তু ধ্বংসাত্মক পথে যাচ্ছেন। বাচ্চারা শুধু সার্টিফিকেটই অর্জন করছে কিন্তু কিছু শিখছে না। জেলা প্রশাসক বলেন, তৃতীয় বিষয়টি হলো, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেনো ঠিকমতো ক্লাশ হয়, পাঠ্যপুস্তক পড়ানো হয়, শিক্ষকরা যেন ক্লাশ করানো বাদ দিয়ে কোচিং এর দিকে ধাবিত হতে না পারে এজন্য তদারকি জোরদার করা হবে। এজন্য বিভাগীয় পর্যায়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পৃথক দুটি কমিটি রয়েছে, যার কার্যক্রম সচল করে মনিটরিং বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, আমরা ধারণা কোচিং বানিজ্য, নোট এবং গাইড এগুলোর কবল থেকে যদি শিক্ষর্থীদের রক্ষা করা না যায় ভবিষ্যতে সুস্থ এবং সমৃদ্ধজাতি গঠনে আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বো।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply